Logo Logo

দেশের চামড়া শিল্পের সঠিক মূল্যায়ন আমরা করিনি : প্রধান উপদেষ্টা


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি পর্যালোচনায় অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেছেন।


বিজ্ঞাপন


আজ বুধবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

সভায় ১৬টি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চারটি, শিল্প মন্ত্রণালয় তিনটি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ দুটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে বলে জানানো হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান সভায় জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নে এনবিআর অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে ১৯টি সংস্থা এতে যুক্ত হয়েছে এবং আরও সংস্থা যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও জানান, ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তার বাস্তবায়ন এগিয়ে চলছে।

সভায় তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাতে সহযোগিতা ও প্রণোদনা প্রদান এবং ম্যান-মেইড ফাইবার সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের বিষয়েও আলোচনা হয়।

এছাড়া সাভারের ট্যানারি ভিলেজে স্থাপিত ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) সম্পূর্ণভাবে চালু করা, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই পার্ক পূর্ণমাত্রায় কার্যকর করা এবং ২০২২ সালের শিল্পনীতি হালনাগাদকরণে নেওয়া পদক্ষেপ নিয়েও বিশদ আলোচনা হয়।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের চামড়া শিল্পের ব্যাপারে আমরা অপরাধ করেছি, এটার সঠিক মূল্যায়ন করিনি। এই শিল্প দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হয়নি।”

তিনি চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে দ্রুত একটি পৃথক বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, আগামী দুই মাসের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের করণীয় বিষয়ে পরবর্তী সভা আহ্বানের কথাও বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমাদের নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের অর্থনীতির স্বার্থে এই কাজগুলো করে যেতে হবে। যেসব নীতিমালা বা আইন কোনো কাজে আসছে না, সেগুলো পরিবর্তন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এগুলো মৌলিক বিষয়। নিজেদের উত্তরণের জন্যই এ কাজগুলো আমাদের করে যেতে হবে।”

আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...