বিজ্ঞাপন
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
মিন্টু বলেন, “আমাদের দলের নেত্রী (খালেদা জিয়া) এখন সুস্থ আছেন। নির্বাচন নিয়ে ফেনীতে আমাদের কোনো চিন্তা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) এর সঙ্গে কথা বলে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, যেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশ্বাস ছিল। আমরা সেটিতেই আস্থা রাখছি। তবে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়তো জানুয়ারিতেও নির্বাচন হতে পারে।”
আবদুল আউয়াল মিন্টু সুপ্রিম কোর্টে চলমান কেয়ার টেকার সরকার পুনর্বহাল সংক্রান্ত মামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “যদি কেয়ার টেকার সরকার ফিরে আসে, তাহলে সেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই কেয়ার টেকার সরকার হবেন। আর কেয়ার টেকার ব্যবস্থায় ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা সংবিধানে বলা আছে।”
বর্তমান সরকারের বৈধতা ও জবাবদিহিতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, “সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে, তাহলে তারা ভালো কাজ করবে না। আমরা ১৯ বছর ধরে আন্দোলন, সংগ্রাম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে এসেছি। কেউ যদি বলে আমরা হঠাৎ করে নির্বাচন চাইছি, সেটা ঠিক নয়। ২০০৬ সাল থেকেই আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি।”
তিনি আরও বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচন আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু মনে করি না। ২০০৬ সালের পর থেকে দেশে আর কোনো নির্বাচনকালীন সরকার নেই। দুই যুগ ধরে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না থাকলে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
জনপ্রিয়
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
