Logo Logo

‘কাওয়ালীর সুরে ভেসে যাওয়া সাজিদ আজ স্মৃতির পাতায়’


Splash Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত কাওয়ালী সুরের কণ্ঠ ছিলেন সাজিদ আব্দুল্লাহ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে তার লাশ ভেসে উঠে। এ ঘটনায় একাধিক তদন্ত কমিটি হলেও এখন পর্যন্ত তার এই মৃত্যুর কারণ উদঘাটন হয়নি।


বিজ্ঞাপন


এদিকে সাজিদের মৃত্যুতে তার সহপাঠী ও ক্যাম্পাসজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এছাড়াও ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও ছাত্র আন্দোলনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় সকল ছাত্র সংগঠন এই মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

সাজিদ আব্দুল্লাহ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি কাওয়ালী গানে ক্যাম্পাসজুড়ে বিশেষ পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আড্ডায় তার কণ্ঠের সুরে মাতোয়ারা হতো ক্যাম্পাস।

তার সহপাঠী ইমরান জাহান বলেন, ‘সাজিদ কাওয়ালীর জন্য ক্যাম্পাসে বেশ পরিচিত ছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও সে পারফর্ম করেছে। আমিও তার সাথে কাওয়ালী গান করতাম। আমি একটি বাদ্যযন্ত্রও (গিটার) কিনেছিলাম শেখার জন্য।’

আরেক সহপাঠী আজহার বলেন, ‘সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই আমরা শোকাহত। আমাদের সাথে কারো কোন শত্রুতা ছিল না, কিভাবে এটা হলো তা কাকতালীয় ও দুঃখজনক। সাজিদের সাথে আমরা কাওয়ালী গান করতাম। সে তার গানের মাধ্যমে আল্লাম্মা ইকবাল ও নজরুলের ইসলামিক গানগুলোকে ধারণ করতো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, ‘সাজিদ আব্দুল্লাহ মেধাবী ছাত্র ছিল। সে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিল৷ সে একাধারে কাওয়ালী করতো, সাংস্কৃতিক চর্চা করতো আবার ইসলামিক সংগীতও করতো। তার কন্ঠে কুরআন তেলওয়াতও ছিল অসাধারণ। একজন বহুমুখী প্রতিভাবান ব্যক্তিকে হারালাম। তার মৃত্যুতে আমরা সকলেই শোকাহত।’

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৬ টায় শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন। অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। তবে এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিটি দুটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেননি। এর আগে গত শনিবার (২৬ জুলাই) সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং ক্যাম্পাসে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...