ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “গোটা বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করে আছে, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব দেশে ফিরে আসবেন। উনি আসবেন, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, আমাদের পথ দেখাবেন।”
আজ রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক ছাত্র সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের নেতা তারেক সাহেব লন্ডনে বসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। সারা দেশের মানুষ সেই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন।”
ছাত্রদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “মেধা ছাড়া সামনে এগোনো সম্ভব নয়। জ্ঞান ও বিজ্ঞানের চর্চা এবং মেধার বিকাশ ঘটিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফখরুল বলেন, “আমাদের পাশের দেশে ভারতবর্ষে ফ্যাসিস্ট হাসিনা আশ্রয় নিয়েছে তার লোকবল নিয়ে। সেখান থেকে সে মাঝেমধ্যেই হুমকি দিচ্ছে যে তারা বাংলাদেশে আক্রমণ করবে। শুধু তা–ই নয়, এখানে তারা বিভিন্নভাবে গোলযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।”
এই পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলাদেশে বিভক্তি সৃষ্টি করার। এই সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে যে আমরা কোনো দিনই শেখ হাসিনাকে আর এই দেশে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ দেব না। শপথ নিতে হবে যে আমরা কারও কাছে কোনো দিন মাথা নত করব না।”
দুপুর আড়াইটার দিকে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলামের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। বেলা সোয়া তিনটার দিকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরপর পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির, হাবিব উন নবী খান ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...