বিজ্ঞাপন
দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন করিডোর থেকে বিজয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।
বিজয় র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের করিডোর প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
জাতীয় দিবস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড মো. আসাদুজ্জামান সরকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মো. সাইফুল্লাহসহ প্রক্টরিয়াল টিমের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও দপ্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “আজ এদেশের সংগ্রামী জনতার বিজয়ের দিন। আমরা বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সেই সকল শহীদদের, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে জীবন দিয়েছেন। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী চেতনা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশ গঠনের যে প্রয়াস ছিল, তা ১৯৭৫-এর পরে বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা আবার সেই জাতীয় চেতনার পুনর্জাগরণ দেখতে পাই। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, দমন-পীড়ন থেকে মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা জনগণের ভেতরে ছিল, তা বাস্তবায়িত হয় এই দিনে। এই দিন আমাদের কাছে শুধু একটি তারিখ নয়, বরং এটি প্রতিরোধ, সাহস ও গণতন্ত্রের বিজয়ের প্রতীক।
তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ফ্যাসিস্টরা যাতে আর কখনও এদেশের মাটিতে শিকড় গাড়তে না পারে, সেই শপথ আমরা আজ গ্রহণ করছি। ফ্যাসিস্টবিরোধী যেকোনো আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।”
র্যালি শেষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে শিশু-কিশোর কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী। এতে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগীদের চিত্রকর্মে ফুটে ওঠে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোচিত মুহূর্ত, শহীদদের আত্মত্যাগ এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১৫ জনকে পুরস্কৃত করা হবে।
চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড জি এম মুজিবর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক ও শিশু-কিশোর কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক সামছুল আলম।
এরপর দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ ও সকল উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত, জাতীয় সংহতি ও অগ্রগতি কামনা করে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সংঘের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থান বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হবে। এরপর একে একে জুলাই আন্দোলনের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি ও ভিডিও প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা এবং চিত্রাঙ্কন, ডিবেটিং ও ভিডিও প্রদর্শনী প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়েছে।
-বাকৃবি প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...