Logo Logo

জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই : ডা. তাহের


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই—এমন মন্তব্য করে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, "এই ঘোষণাপত্রে দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার তেমন কোনো প্রতিফলন হয়নি।"

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে “জুলাই ঘোষণাপত্র” পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডা. তাহেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা।

ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে সংবাদমাধ্যমকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডা. তাহের বলেন, “আমি মনে করি, জুলাইয়ের যে আকাঙ্ক্ষা, এই ঘোষণাপত্রে সেটার তেমন কোনো প্রতিফলন হয়নি। একটা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা আমরা দেখেছি।”

তিনি আরও বলেন, “এটা কোন তারিখ থেকে বাস্তবায়ন হবে? কালকে থেকেই বাস্তবায়িত হবে? সেটা কিন্তু স্পষ্ট করেনি। তাছাড়া আমরা এটাকে সংবিধানে প্রিয়াম্বেলে চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি।”

ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং এটি পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে যুক্ত হবে। এ বিষয়ে ডা. তাহের বলেন, “উনারা যেটা বললেন, আগামী সরকার বাস্তবায়ন করবে। তাহলে বুঝা গেলো, এই সরকার কিছু করবে না। অথচ দায়িত্ব হচ্ছে এই সরকারের। এভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যুকে হালকাভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার যে ঘোষণাপত্র দেখলাম, তাতে আমরা হতাশ। এই জাতি হতাশ।”

ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার জন্য সকল প্রকার আইনি সুরক্ষার প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়েছে।

তবে ঘোষণার ভাষাগত কাঠামো ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মতভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ডা. তাহেরের মতো নেতারা মনে করছেন, ঘোষণাপত্রে সুস্পষ্ট ও সময়সীমাবদ্ধ বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অনুপস্থিতি একে নিরুত্তাপ ও প্রত্যাশাবিমুখ করে তুলেছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...