বিজ্ঞাপন
বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় বিজয়নগর সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজত ইসলামী এবং এনসিপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন অংশ নেন। এ সময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বিশাল যানযট সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার আছেন, যা উপজেলার মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক। দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট উপজেলা একক সংসদীয় আসনের উপযুক্ত হলেও বছরের পর বছর ধরে এটিকে একবার সদর, একবার সরাইল, আবার কখনো নাসিরনগরের সঙ্গে যুক্ত করে অবহেলার শিকারে পরিণত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিজয়নগরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। নতুন করে সরাইল আসনের সঙ্গে তিনটি ইউনিয়ন যুক্ত করায় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
তিনটি ইউনিয়নকে আগের আসনে রাখার দাবিতে উপজেলার জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি এবং এনসিপির নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে অখন্ড বিজয়নগর রক্ষায় একটি লিখিত আবেদন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার এলাকার বাসিন্দা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি এড. ইমাম হোসেন বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে চান্দুরা, বুধন্তি, হরষপুর ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২–এ যুক্ত করা হয়েছে, বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। এতে উপজেলার উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং তাঁরা সুবিধাবঞ্চিত হবেন। আমাদের দাবি বিজয়নগরকে একক সংসদীয় আসন বা আগের আসনে রাখা হোক। কোনোভাবেই বিজয়নগরকে দ্বিখণ্ডিত করা যাবে না। আগামী ২৪ আগস্টে অখণ্ড বিজয়নগরে পক্ষে রায় দিবেন নয়তো একক আসন দিবেন। অন্যথায় আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।
এছাড়াও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হোফাজতে ইসলামি বিজয়নগর উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসেন, জামায়াত নেতা শিহাব উদ্দিন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শিহাব সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি এনামুল হক ভাসারী, বিজয়নগর জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাবেদুর রহমান জাবেদ, বিএনপির নেতা লিটন, রাষ্ট্র সরকার প্রমুখ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...