বিজ্ঞাপন
এ অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অসংখ্য গুণী মানুষের জন্ম হয়েছে। তবে যারা খারাপ কাজে লিপ্ত, তাদের ক্ষমা করা যাবে না, বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর কলেজ বাসস্ট্যান্ডে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ভিপি নুর আরও বলেন, “ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আমরা ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন করেছি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এমন একজন জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিন, যিনি জনগণের অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন।”
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে কেউ যাতে বাহিনীকে পেটোয়া বাহিনীতে রূপান্তর করতে না পারে, সেজন্য রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আন্দোলন দমন ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করেছে। এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ নিহত ও ৩০ হাজার মানুষ অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন।”
সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, “গোপালগঞ্জে শীর্ষ নেতাদের জীবন বাজি রেখে সেনাবাহিনী রক্ষা করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে না বুঝে কিছু বলা উচিত নয়। সেনাবাহিনী দেশের গর্ব, সবসময় বিপদ-আপদে তারা গৌরবময় ভূমিকা রেখেছে।”
তিনি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং উচ্চকক্ষের নির্বাচন PR (Proportional Representation) পদ্ধতিতে করার দাবি জানান।
সভায় উপস্থিত নেতারা
পথসভায় গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিমসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন সরদার এবং সঞ্চালনা করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপু মুন্সি।
মো. রাশেদ খান তার বক্তব্যে বলেন, “শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে গণতন্ত্র হত্যা করে দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার রাজত্ব চালিয়েছেন। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করেছেন।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
পথসভাকে ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা পুলিশ। সভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় শত শত পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল।
পথসভা শেষে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা যশোর জনসভায় যোগ দিতে মুকসুদপুর ত্যাগ করেন।
-গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
