বিজ্ঞাপন
জানা যায়, কুলাঘাট ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে,এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি ( নেসকো) লিমিটেড অফিস সাধারণ জনগন ঘেরাও করেন।
প্রিপেইড মিটারে অতিরিক্ত চার্জ পরিশোধসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বিতর্কিত এই প্রিপেইড মিটার সংযোগের মাধ্যমে গ্রাহকরা মিটার ভাড়া ও সাভিসচার্জ বাবদ ৩০% আর্থিক ক্ষতি ও ভোগান্তির শিকার হবেন। প্রিপেইড মিটারে প্রতিবার এক হাজার টাকা রিচার্জে এজেন্ট কমিশন বাবদ ২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। প্রতিমাসে গ্রাহকদের মিটার ভাড়া বাবদ ৪০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। কতদিন এই ভাড়া পরিশোধ করতে হবে তা অস্পষ্ট। গ্রাহকরা নিজেদের টাকায় ইতিপূর্বে অ্যানালগ ও ডিজিটাল মিটার ক্রয় করলেও তার জন্য কোনো টাকা বিদ্যুৎ বিভাগ পরিশোধ করেনি। প্রতি এক হাজার টাকা রিচার্জে গ্রাহকরা কত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে, বাণিজ্যিক ও আবাসিক রেট কীভাবে নির্ধারিত হবে- এসব নিয়েও সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
বিক্ষুব্ধ সাধারণ গ্রাহকেরা বলেন,প্রিপেইড মিটার স্থাপনের নামে জনগণের পকেট থেকে টাকা লোপাটের নতুন ফাঁদ পাতা হয়েছে দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রিপেইড মিটারে ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে ৫০০ টাকা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের জন্য ৫০ টাকা হারে গ্রাহকদের সুদ পরিশোধ করতে হবে। প্রিপেইড মিটার কোনো কারণে লক হয়ে গেলে লক খোলার জন্য ৬০০ টাকা জমা দিতে হবে। বিদ্যুতের ওভার লোডের কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎপ্রবাহ আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া এই প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ করার সঙ্গে সঙ্গে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নেসকো অফিস ঘেরাও করে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোকজন নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং মারমুখী আচরণ করে, দ্রুত খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল হক ও সদর থানার ওসি নুরনবী সরকার এবং সেনাবাহিনীর গাড়ি বহর আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আমাদের এই মুহূর্তে প্রিপেইড মিটার বাড়ি বাড়ি গিয়ে আনা সম্ভব না,আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি,স্মারকলিপি জমা নিয়েছি আমরা যথা সময়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো।
-জিল্লুর রহমান লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...