ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢামেকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “নুরুল হক নুর এখন আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ। তার নাক ও চোয়ালের ভাঙা হাড় পুরোপুরি সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন।”
ঢামেক পরিচালক আরও জানান, “বিভাগীয় প্রধানরা তাকে সার্বক্ষণিক দেখছেন। তার চোখের মধ্যে জমে থাকা রক্ত ঠিক হতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। নরমাল খাবার খেতে তাকে বলা হয়েছে। তবে খাবার খাওয়ার সময় ব্যথা অনুভব করছেন, যা ধীরে ধীরে ঠিক হবে।”
আঘাতের পর নুরের নাক থেকে রক্তক্ষরণ কিছু অংশ শ্বাসনালীতে চলে গিয়েছিল। গতকাল কাশির সঙ্গে দুইবার সেই রক্ত এসেছে, তবে এতে কোনো শঙ্কার বিষয় নেই। হাসপাতালের বোর্ডের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
এই সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন নুরকে দেখতে ঢামেকে উপস্থিত হন। তিনি তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতাও বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন, সুস্থ হওয়ার পর নুরুল হক নুর হামলার ঘটনায় মামলা করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করে। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ বহুজন আহত হন। গুরুতর আহত নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...