দুবাইয়ে দর্জি হিসেবে কর্মরত সবুজের হাতে লটারির অর্থ তুলে দেন আয়োজকরা
বিজ্ঞাপন
দুবাই প্রবাসী চাঁদপুরের আরেক বাসিন্দা জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সবুজ গত ২৯ জুলাই আবুধাবির ড্রাগন মার্ট এলাকা থেকে বিগ টিকিট লটারির ২৭৭ সিরিজের একটি টিকিট ১ হাজার দিরহামে কেনেন। সে সময় তাকে আরো দুটি টিকিট ফ্রি দেওয়া হয়। গত ৩ আগস্ট আবুধাবিতে এই লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। লটারির ‘১৯৪৫৬০’ নম্বর টিকিটটি এখন তার ভাগ্য বদলে দিয়েছে।
সবুজের বরাত দিয়ে তিনি জানান, লটারির টিকিট কেনার জন্য সবুজের কাছে ১ হাজার দিরহাম ছিল না। তিনি ড্রাগন মার্ট এলাকার একজনের কাজ থেকে কাজের বিনিময়ে ৫০০ দিরহাম নিয়েছিলেন।
জাকির হোসেন আরো জানান, লটারি জেতার পর থেকেই অসংখ্য মানুষ সবুজকে ফোন দেওয়া শুরু করেন। তাই, তিনি এখন মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। লটারিতে পাওয়া টাকা দিয়ে কী করবেন, তা এখনো প্রকাশ করেননি সবুজ।
সবুজের মামাতো ভাই সাদ্দাম হোসেন জানিয়েছেন, সবুজ চাঁদপুরের রাজরাজেশ্বর এলাকার জেলে আমির হোসেন দেওয়ানের ছেলে। পরিবারের হাল ধরতে ১০-১২ বছর আগে তিনি দুবাইয়ে যান। এরপর নদীভাঙনের কবলে পড়ে তার পরিবার গৃহহারা হয়। পরে দুবাইতে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি পরিবারের জন্য গাজীপুরের কাশিমপুরে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিউল্লাহ সরকার বলেছেন, লটারি জেতার পর গত বুধবার সবুজের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দুবাইয়ে সে অনেক কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করছিল। এখন তার ভাগ্য বদলে যাবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...