বিজ্ঞাপন
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় কর্মকর্তাদের উচ্চশিক্ষায় বয়সসীমা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রতি বছর সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে অগ্রগতির প্রত্যয়ন সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বন্ধ রাখা হবে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর মানদণ্ড নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তার ধরণ ও মান অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ক্যাটাগরিভিত্তিক র্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে পদ্ধতিগতভাবে ও স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন এবং সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্যও এই ইউনিটের আওতায় সংরক্ষিত থাকবে।”
সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। হালনাগাদকৃত কারিকুলামে এ প্রশিক্ষণ মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করতে হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ মঞ্জুরের সুযোগ পাবেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতিবিরোধী মানসিকতা গঠনে প্রশিক্ষণে নতুন কিছু মডিউল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে– ম্যুরালিটি, বিহেভিরিয়াল সায়েন্স ও কোড অফ এথিক্স। একইসঙ্গে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...