বিজ্ঞাপন
নেপালে জেনারেশন জেডের তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলন মাত্র দুদিনেই কেপি শর্মা অলি সরকারের পতন ডেকে এনেছে। ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই ঘটনাপ্রবাহ অবিশ্বাস্যভাবে মিলে যায় বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে ঘটে যাওয়া আন্দোলনের সঙ্গে।
গত সোমবার কাঠমান্ডুতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পোখারা, বিরাটনগর ও ভরতপুরসহ বিভিন্ন শহরে। প্রথম দিনেই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২০ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন ছাত্র ও তরুণ বিক্ষোভকারী। এতে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূত্র ধরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ওই আন্দোলনের নেতৃত্বও ছিল তরুণ ও শিক্ষার্থীদের হাতে। নেপালেও একই চিত্র দেখা যায়—স্কুল-কলেজের পোশাক পরা ছাত্ররা ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুবসমাজ’ ব্যানার নিয়ে রাজপথে নামে। সোশ্যাল মিডিয়া ছিল উভয় আন্দোলনেরই প্রধান হাতিয়ার।
ইন্ডিয়া টুডে বিশ্লেষণে জানায়, নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশে কোটা পদ্ধতি বজায় রাখার মতো আপাতদৃষ্টিতে ছোট নীতিগত সিদ্ধান্তগুলোই ছিল মূল ট্রিগার। তবে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা দুর্নীতি, বৈষম্য এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতি জনঅসন্তোষ আন্দোলনকে রূপ দেয় সরকারের পতনে।
বাংলাদেশের মতো নেপালেও বিক্ষোভকারীরা সরকারি স্থাপনায় হামলা চালান। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনসহ বিভিন্ন মন্ত্রী ও নেতার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদলের পরামর্শে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী অলি পদত্যাগ করেন।
ঢাকার ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, বাংলাদেশে যেমন সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বলেছিল, তেমনি নেপালেও সেনাপ্রধানের পরামর্শেই অলি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...