বিজ্ঞাপন
আইএসপিআর জানায়, নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানটি আজ বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করে। দলের দেশে ফেরা বিকেল ৩টার দিকে হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত সোমবার নেপাল সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে হাজারো তরুণ-তরুণী বিক্ষোভে নামে। পুলিশি গুলির ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। মঙ্গলবার সরকারি স্থাপনাগুলোতে হামলার পর সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নেয়।
তৎপর পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রসাদ শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেল তাকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দায়িত্ব দেন। তবে ওলি সরকারি বাসভবন ত্যাগ করে চলে যান এবং তার বর্তমান অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি রেহান রাজ দঙ্গল জানান, তারা সেনা কর্তৃপক্ষকে সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
সুশীলা কার্কি নেপালের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি (২০১৬-২০১৭) ছিলেন। তিনি একমাত্র নারী হিসেবে এ পদে দায়িত্ব নেওয়া ব্যক্তিত্ব এবং তখন থেকেই জনপ্রিয় ছিলেন। তবে সেনা সদর দপ্তরের বাইরে জড়ো হওয়া কিছু আন্দোলনকারী তার প্রার্থিতার বিরোধিতা করেছেন।
সেনারা বুধবার কাঠমান্ডুর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পাহারা দিয়েছেন। এ সময় গাড়ি ও মানুষের তল্লাশি করা হয় এবং সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও সেনারা প্রথমে ব্যারাকেই অবস্থান করেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে সেনাদের মোতায়েন শুরু হয় এবং তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দেন।
শহরের প্রধান কারাগারে কয়েদিদের দমনেও সেনারা অংশ নেন। কয়েদিরা প্রহরীদের পরাস্ত করে পালানোর চেষ্টা করলে সেনারা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পালানোদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এই আন্দোলন মূলত ‘জেনারেশন জি’র বিক্ষোভ’ নামে পরিচিত। এটি শুরু হয় সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর। যদিও মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। পুলিশি গুলিতে ১৯ জন নিহত হওয়ায় ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। আন্দোলনকারীরা বলছে, রাজনৈতিক নেতাদের সন্তানরা বিলাসী জীবনযাপন করছে, অথচ সাধারণ যুবকরা কর্মসংস্থানের তীব্র সংকটে ভুগছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে নেপালে তরুণদের বেকারত্বের হার প্রায় ২০ শতাংশ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি যুবক জীবিকার সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...