ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি মনে করেন, একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া এই সংস্কার স্থায়ীভাবে কার্যকর হবে না।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় এসব কথা বলেন আখতার হোসেন। বৈঠকে কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, “আমরা দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এর একটি হলো যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়— সেগুলো অর্ডিন্যান্স বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কিন্তু রাষ্ট্র কাঠামোর যেসব বিষয় সংবিধানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এত বড় পরিবর্তন শুধু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে টেকসই করা সম্ভব কি না— এই আশঙ্কা আমাদের মাঝেই বিদ্যমান।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই হাইকোর্টে সংবিধান সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করার নজির রয়েছে এবং সেসব সংশোধনী বাতিল হয়েছে। “সেক্ষেত্রে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছি— যে মৌলিক পরিবর্তনগুলো এসেছে, সেগুলোকে কীভাবে টেকসই করা যায়, তার পদ্ধতি ঠিক করতে হবে।”
আখতার হোসেন মনে করেন, একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান ও নতুনভাবে লিখিত ধারা-উপধারা ও অনুচ্ছেদের মধ্য দিয়ে সংস্কারগুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে— এমন আশা প্রকাশ করে এনসিপির সদস্য সচিব কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা গেলে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সবার কাছে প্রশ্নাতীত হয়ে উঠবে এবং কমিশনের কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করা সম্ভব হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...