ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোগলটুলির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জামায়াতের মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম ও হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাইফুল আলম খানসহ অন্য নেতারা।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল, ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে জামায়াত জানায়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা চালায়। এর মধ্যে ৮৪টি প্রস্তাব সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ভিন্নমতের কারণে চূড়ান্ত হয়নি। জামায়াত মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনগত ভিত্তি না দিলে ছাত্র–জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থানের সাফল্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানায় দলটি।
জামায়াতের লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে কালো টাকার ব্যবহার, ভোটকেন্দ্র দখল, পেশিশক্তির প্রদর্শন ও ভোট কারচুপি রোধে এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও নানা শ্রেণি–পেশার মানুষও এই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
জনগণের দাবি কার্যকর না হওয়ার অভিযোগ তুলে জামায়াত জানায়, এমন পরিস্থিতিতে জনগণের দাবি আদায়ের জন্য গণ-আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী এই আন্দোলনের পাঁচ দফা গণদাবি জাতির সামনে তুলে ধরছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...