ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মিহির ঘোষ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এবারের কংগ্রেসে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং পার্টির করণীয় নির্ধারণের পাশাপাশি চূড়ান্ত লক্ষ্য সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
মিহির ঘোষ জানান, প্রতি কংগ্রেসের মতো এবারের কংগ্রেসের জন্যও রাজনৈতিক প্রস্তাব ও কর্মসূচির খসড়া দলিল তিন মাস আগে সব সদস্য ও প্রার্থী সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে। শাখা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সম্মেলনে মতামত গ্রহণের পর প্রতিনিধিরা তা কংগ্রেসে উপস্থাপন করবেন। আলোচনা শেষে রাজনৈতিক প্রস্তাব ও কর্মসূচির দলিল চূড়ান্ত করা হবে।
পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কংগ্রেসে ৫২৫ জন প্রতিনিধি এবং ২৬ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। উদ্বোধনী দিনে বয়স ৭০ বছরের বেশি এবং ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে পার্টির সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ কমরেডদের সম্মাননা জানানো হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রায় দুই শতাধিক প্রবীণ কমরেড কংগ্রেসে যোগ দেবেন।
চার দিনব্যাপী কংগ্রেস পরিচালনার জন্য প্রেসিডিয়াম, অডিট কমিটি, পরিচয়পত্র যাচাই কমিটি, প্রস্তাব বাছাই কমিটি এবং মুখপত্র নির্বাচন করা হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মুখপত্ররা কার্যক্রম সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করবেন।
মিহির ঘোষ আরও জানান, বাস্তব পরিস্থিতির কারণে এবারের কংগ্রেসে বিদেশি ভ্রাতৃপ্রতিম পার্টির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে তাদের পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা কংগ্রেসে পাঠ করা হবে।
সিপিবি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এই কংগ্রেসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে। কংগ্রেসে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যহীন সমাজ গঠন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, নিরাপত্তাহীনতা দূরীকরণ এবং হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...