বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দলীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই যোগ্য ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। এখনও কোনও নির্বাচনী এলাকায় কাউকে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হয়নি।”
রিজভী জানান, বিএনপির মনোনয়ন নির্ধারণের দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পার্লামেন্টারি বোর্ডের ওপর ন্যস্ত এবং তফসিল ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঘোষণা ছাড়া পত্রিকায় প্রকাশিত কোনও মনগড়া সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ঘিরে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হচ্ছে, তখন গভীর ষড়যন্ত্রের বীজ বুনছে কিছু চক্র। তারা নানা অপতথ্য ছড়িয়ে বিএনপিকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করছে,” বলেন রিজভী।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, “জনগণ অবলোকন করছে যে, গণহত্যাকারী নিষিদ্ধ সংগঠন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের গোপন মিশনে নেমেছে একটি চক্র। বিনিময়ে পতিতদের সহযোগিতা নিয়ে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের স্বপ্ন দেখছে।”
সম্প্রতি কিছু পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কথিত তালিকা প্রকাশের বিষয়টি নিয়েও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার ভাষায়, “এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার। উদ্দেশ্য একটাই—দলীয় বিভেদ সৃষ্টি করে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ও বিশৃঙ্খলা উসকে দেওয়া।”
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “সবুজ সংকেত নয়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিটি এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমাদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং গণসম্পৃক্ত প্রতিটি কাজে সক্রিয় থাকতে হবে।”
ভোরের বাণী জানায়, বিএনপি কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে যে কোনও গুজব বা তালিকা পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দলীয় নেতারা মনে করছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...