Logo Logo

সংসদ ভবন এলাকায় হচ্ছে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন


Splash Image

জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে জন্য নতুন বাসভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য নির্মিত দুটি ভবন একীভূত করে গড়ে তোলা হবে। দুই ভবনের মধ্যে যাতায়াত সহজ করতে একটি দুই-স্তরবিশিষ্ট করিডর নির্মাণ করা হবে।


বিজ্ঞাপন


সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন হিসেবে বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। তবে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য টেকসই সমাধান খুঁজতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। শুরুতে যমুনা ও হেয়ার রোডের কিছু বাংলো নিয়ে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত সংসদ চত্বরের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়।

গত রোববার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব নজরুল ইসলাম, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কানিজ মওলা, প্রধান উপদেষ্টার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল ফেরদৌস হাসান ও এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুব উস সামাদসহ একটি প্রতিনিধি দল ভবন দুটি ঘুরে দেখেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও একাধিকবার এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন।

সংসদ চত্বরে লাল ইটের দুটি দোতলা ভবন ২০০২ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নির্মিত হয়। এই নির্মাণ কার্যক্রম নিয়ে স্থপতি মহলে অভিযোগ ওঠে যে লুই আই কানের মূল নকশা বিকৃত হয়েছে। হাইকোর্ট ভবন দুটি অবৈধ ঘোষণা করলেও ২০২২ সালে আপিল বিভাগ তা বাতিল করে। সর্বশেষ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এই ভবনগুলোতে বসবাস করেছেন।

ভবন দুটি সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে (আসাদ গেটের দিকে) অবস্থিত। দক্ষিণমুখী লাল ইটের ভবনগুলোর মাঝখানে সীমানাপ্রাচীর থাকলেও সামনে খোলা জায়গা ও বাগান রয়েছে।

ইতিহাসের প্রেক্ষাপটেও গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে নির্মিত গণভবনে তিনি বসবাস করেননি। ১৯৮৫ সালে এইচ এম এরশাদের শাসনামলে এটি সংস্কার হয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘করতোয়া’ নামে পরিচিত হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বসবাস শুরু করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কখনো এখানে থাকেননি। ২০০৯ সালে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গণভবন সংস্কার করা হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত শেখ হাসিনা এই ভবনে ছিলেন।

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, “জাতীয় সংসদ ভবন আধুনিক স্থাপত্যশৈলির বিশ্বসেরা নিদর্শনের একটি। এর নকশায় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে স্থাপত্য উৎকর্ষ কমে যাবে। এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে।”

সরকারি সূত্র জানায়, সংস্কার খরচ খুব বেশি হবে না। ভবন দুটির সংযোগ ও নিরাপত্তা জোরদার করলেই এটি নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। প্রয়োজনে এটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...