বিজ্ঞাপন
র্যাব সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সে প্রায় ৯ মাস আগে বাসা ভাড়া নিয়ে নিহত রানু বেগমের বাড়িতে পরিবারসহ বসবাস করছিলেন। এ সময় বাড়িতে চুরি হওয়ার পর রানু বেগম তাকে সন্দেহ করেন। এরপর তাদের বিবাদ চলমান থাকায় রাসেল বাসা ছেড়ে চলে যান। কিন্তু মনের মধ্যে পুষে রাখেন ক্ষোভ!
পরবর্তীতে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রাসেল গোপনে রানু বেগমের রান্নাঘরে লুকিয়ে থাকে। ভোরে সুযোগ বুঝে তিনি রানু বেগমের ঘরে প্রবেশ করে ধারালো কাঁচি দিয়ে হাত ও গলায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করেন। হত্যার পর ঘরে থাকা স্বর্ণের দুল, মোবাইল ও কিছু টাকা নিয়ে পালিয়ে যান রাসেল। রাসেল আরো জানান, পরে একটি মোবাইল ফোন ও কানের দুল বিক্রি করে দেন। র্যাব তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। শিবচর থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা চলমান রয়েছে। আলামতসহ তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত আসামিকে থানায় নিয়ে আসার পর নিহত রানু বেগমের স্বজনরা হত্যাকারীকে সামনে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...