নিউইয়র্ক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার বিএনপি কর্মী রিয়াজ রহমান হোসাইন । ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতার নাম হৃদয় মিয়া। তিনি যুক্তরাষ্ট্র শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী। ঘটনার পর শারীরিক আঘাতের কারণে রিয়াজকে হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। একইসঙ্গে আহত হৃদয় মিয়াকে ম্যানহাটানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হৃদয় মিয়া। তিনি বলেন, “আমাদের বিক্ষোভ শেষে বাসায় যাওয়ার জন্য হাঁটছিলাম। হঠাৎ এক যুবক এসে আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে গালাগালি করতে থাকে। আমি বললাম, ‘আমি আপনাকে চিনি না জানি না, আমাকে কেন গালিগালাজ করছেন?’ এ কথা বলতেই অতর্কিতে মাথা, ঘাড় ও মুখে ঘুষি মারে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে পাশে থাকা পুলিশ এসে আমাদের দুজনকেই ধরে। পরে আরেকজন পুলিশ এসে জানায়, রিয়াজ প্রথম আঘাত করেছে। এরপর পুলিশ আমাকে ছেড়ে দিয়ে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য গিয়াস আহমেদ জানান, “রিয়াজ আমাদের একজন কর্মী। আমি থানায় গিয়েছিলাম, কথা বলেছি। আশা করছি, খুব দ্রুত সে ছাড়া পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “ওই ছাত্রলীগ নেতা এয়ারপোর্টে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। সেই ক্ষোভ থেকেই রিয়াজ তাকে মেরেছে, যার ফলে তার দুটি দাঁত ভেঙে গেছে। আসলে ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করতে এসেছিল, তাই এ ঘটনা ঘটেছে।”
এনওয়াইপিডির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...