Logo Logo

গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ, পাল্টা সম্মেলন


Splash Image

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পায়ে হাঁটার রাস্তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যকার একটি সাধারণ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ঘর ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপি।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) দুপুরে মুকসুদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম খান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাজু।

লিখিত বক্তব্যে নেতারা বলেন, উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের মোশারফ শেখ মুসা ও মো. মোনায়েম খানের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর একটি সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু তার আগের দিন, ২৬ সেপ্টেম্বর, মোশারফ শেখ একটি গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন যে, উপজেলা বিএনপির নেতাদের নির্দেশে তার পাঁচটি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে এবং তার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে।

আব্দুস সালাম খান বলেন, “এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি মহল রাজনৈতিক সুবিধা নিতে মোশারফকে ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করছি, আপনারা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখুন। যদি আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা মেলে, তবে দেশের আইন অনুযায়ী যেকোনো শাস্তি আমরা মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত।” তিনি আরও যোগ করেন, মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর পর থেকেই অভিযুক্ত মোশারফ শেখ আত্মগোপনে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে মোশারফ শেখের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কোনো ঘর ভাঙচুর করা হয়নি। তিনি বলেন, “প্রতিপক্ষ মোনায়েম খান বিএনপির লোকজন নিয়ে ঘর ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছিল, কিন্তু ভাঙেনি। তাদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে যে বিরোধ ছিল, তা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মীমাংসা করে দিয়েছেন।”

অন্যদিকে, অভিযোগের বিষয়ে মোনায়েম খান বলেন, “আমি কাউকে কোনো হুমকি দেইনি। মোশারফের বাড়ির পাশ দিয়ে আমাদের পাড়ার প্রায় চল্লিশটি পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ। সবাই মিলে তাকে শুধু নির্বিঘ্নে চলার জন্য সামান্য জায়গা ছাড়তে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গ্রামীণ পর্যায়ে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দ্বন্দ্বকে প্রায়শই রাজনৈতিক রঙ দিয়ে ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করা হয়, যেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম জড়িয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রবণতা দেখা যায়। এই ঘটনাটিও তার ব্যতিক্রম নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুকসুদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আবুল বাশার টুলটু বিশ্বাসসহ স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

- সৌরভ বিশ্বাস,গোপালগঞ্জ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...