বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রবিউল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এসপি জানান, গ্রেপ্তারকৃত বাবু সরদার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ভুক্তভোগী আকবর ফকিরের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এর পাশাপাশি আকবর ফকির তার স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রবধূর সঙ্গে অশালীন আচরণ ও কুনজর দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাবু সরদার তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বাবু বাজার থেকে একটি ধারালো চাকু এবং ফার্মেসি থেকে ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনে। ঘটনার দিন কোমল পানীয়ের সঙ্গে ট্যাবলেটগুলো মিশিয়ে আকবর ফকিরকে পান করায়। আকবর অচেতন হয়ে পড়লে তাকে একটি গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে নিহতের পুরুষাঙ্গ কেটে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়।
এর আগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে সদর উপজেলার বুড়িখালি গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে আকবর ফকিরের হাত-পা বাঁধা ও ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আকবর শড়াতলা গ্রামের মৃত মমিন ফকিরের ছেলে। এ ঘটনায় তার ছেলে নাজির ফকির বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নামে। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে লোহাগড়া উপজেলার মশাঘুনি এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, আসামি বাবু সরদার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম এবং ডিবি ওসি আব্দুল খালেক উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...