বিজ্ঞাপন
শনিবার (১১ অক্টোবর) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গভীর রাতে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং স্কয়ারে এক জাঁকজমকপূর্ণ সামরিক কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করা হয়।
কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, এবং ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান তো লাম। আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে উত্তর কোরিয়া তাদের সবচেয়ে উন্নত ‘হোয়াসং-২০’ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে।
কেসিএনএ’র প্রতিবেদন অনুসারে, হোয়াসং সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যেকোনো স্থানে হামলা চালানোর সক্ষমতা রাখে বলে ধারণা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক থিংকট্যাংক কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের বিশ্লেষক অঙ্কিত পান্ডা বলেন, “হোয়াসং-২০ বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এটি সম্ভবত একাধিক ওয়ারহেড বহনের জন্য তৈরি, যা মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।”
তার মতে, একাধিক ওয়ারহেডের উপস্থিতি ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরোধমূলক ক্ষমতাকে আরও জোরদার করবে।
এ ছাড়া প্রদর্শনীতে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, নতুন ধরণের একাধিক রকেট লঞ্চার এবং আত্মঘাতী ড্রোন লঞ্চারও প্রদর্শিত হয়।
সামরিক কুচকাওয়াজে কিম জং উন বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী এমন এক অজেয় সত্তায় পরিণত হবে, যা সব ধরনের হুমকি ধ্বংস করতে সক্ষম।”
এই প্রদর্শনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া তাদের সামরিক সক্ষমতা ও পরমাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...