ছবি- সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার পর অবশেষে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতি দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে এক বিরল ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানায়, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের অনুরোধেই এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে।
তবে ভিন্ন দাবি করছে তালেবান। তাদের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে লিখেছেন, “যুদ্ধবিরতি পাকিস্তানের অনুরোধে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
পাকিস্তান জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি আফগানিস্তান আলোচনার প্রস্তাবও দিয়েছে। তালেবান মুখপাত্র বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে, যতক্ষণ না অন্য পক্ষ কোনো লঙ্ঘন করে।”
এর আগে, কাতার ও ইরানের মধ্যস্থতায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও তা ২৪ ঘণ্টাও টেকেনি। এরপর থেকেই সীমান্তে ভারী গোলাগুলি ও পাল্টা হামলায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।
গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে কাবুল। অপরদিকে পাকিস্তান বলছে, তালেবান পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। উভয় দেশই পরস্পরকে সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগে অভিযুক্ত করছে।
দুই দেশের সংঘর্ষ কেবল সীমান্তেই সীমাবদ্ধ নয়; সোশ্যাল মিডিয়ায়ও প্রচারণার যুদ্ধ চলছে। তালেবান দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানি সেনার ৫৮ জন সদস্যকে হত্যা করেছে। তবে ইসলামাবাদের পাল্টা দাবি—তাদের বাহিনী ২০০ জন তালেবান যোদ্ধা ও সহযোগী সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও বুধবার পর্যন্ত সীমান্তের কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাময়িক এই যুদ্ধবিরতি হয়তো সংঘাত থামাতে পারবে না, তবে আলোচনার টেবিলে ফেরার একটি সুযোগ তৈরি করেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...