বিজ্ঞাপন
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এই কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির শর্ত এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত মানবিক বিধানগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও গাজায় একের পর এক হামলা চালিয়ে কয়েক শত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৭৭ জন নিহত এবং ৯৮৭ জন আহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হামাসের কাছে বন্দী জীবিত ২০ জনকে ইসরায়েলের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে এবং একজন বাদে মৃত ২৭ বন্দীর মরদেহও ফেরত পাওয়া গেছে।
বিনিময়ে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়েছেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি এবং গাজায় নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত সেনাসদস্যদেরও পিছিয়ে এনেছে ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের একটি শর্ত ছিল গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করা, যা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।
এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। মার্কিন প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন করা হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...