বিজ্ঞাপন
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক নিশ্চিত করেছেন, বর্তমানে কেন্দ্রের কোনো ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এরপরও ১ নম্বর ও ৩ নম্বর ইউনিট সচল ছিল এবং সেখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। তবে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ৩ নম্বর ইউনিটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সেটি বিকল হয়ে যায়। সোমবার (২০ অক্টোবর) পর্যন্ত তা মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই রোববার দিবাগত রাতে ১ নম্বর ইউনিটের বয়লারের টিউব ফেটে গেলে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “গত বৃহস্পতিবার সকালে ৩ নম্বর ইউনিটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তখন ১ নম্বর ইউনিট সচল ছিল এবং ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল। কিন্তু রোববার রাতে বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কেন্দ্র থেকে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না।”
তিনি আরও জানান, বিকল হয়ে পড়া ইউনিটগুলো সচল করার জন্য প্রস্তুতকারী চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ১ নম্বর ইউনিট সচল করে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ৩ নম্বর ইউনিটে জটিল যান্ত্রিক সমস্যা থাকায় সেটি চালু করতে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এদিকে নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি (নেসকো) রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) মো. আশরাফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, “বড়পুকুরিয়া কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে উত্তরাঞ্চলে লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য অঞ্চল থেকে সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।”
উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট এবং ৩ নম্বর ইউনিটের ২৭৫ মেগাওয়াট। তবে বাস্তবে কখনোই কেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারেনি। বর্তমানে তিনটি ইউনিটই বন্ধ থাকায় কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...