ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
একই সঙ্গে মামলার অন্যতম আসামি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২০ নভেম্বর ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর সেনা সদরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত ওই ব্রিফিংয়ে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, তাদের মধ্যে এলপিআরের একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা সদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়েছিল। ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনা সদরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন হাজির হন।
এলপিআরে থাকা একজনসহ ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, একজন আত্মগোপনে রয়েছেন, আর বাকি ৯ জন ইতোমধ্যে অবসরে গেছেন।
প্রসঙ্গত, গুম ও খুনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গেলো ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ প্রধানসহ ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। দেশের ইতিহাসে চাকরিরত অবস্থায় এত সংখ্যক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একসঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এটি প্রথম ঘটনা।
আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২১ অক্টোবরের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...