বিজ্ঞাপন
সভায় কমিউনিটি পুলিশিং সার্ভিসেস (সিপিএস)-এর সদস্য, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
সুফাসেক প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো শিশুদের যৌন শোষণের বিরুদ্ধে আইনি, সামাজিক ও কাঠামোগত প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সভায় বক্তারা বলেন, শিশু যৌন শোষণ একটি জঘন্য অপরাধ, যা শিশুদের মানসিক জগতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করছে। এই অপরাধ রোধে কেবল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাই নয়, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা জরুরি।
সভায় মোট সাতান্নটি ‘টোটাল কেইস আইডেন্টিফায়’ চিহ্নিত করা হয়। প্রফেসর আহমেদ স্যারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিলারা বেগম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রজেক্ট অফিসার আলী রাজ।
সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবুল হক বলেন, সুফাসেক প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের শনাক্ত করা, তাদের আইনি ও মনো-সামাজিক সহায়তা প্রদান এবং স্থানীয় জনগণকে সচেতন করে একটি শক্তিশালী সুরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করা। তিনি শিশুদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সুফাসেক প্রকল্প অ্যাডভাইজারি গ্রুপের সদস্য করিমন নেছা শান্তা বলেন, সিপিএস পুলিশ ও জনগণের মধ্যে একটি কার্যকর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে, যা প্রশাসনকে শিশু যৌন শোষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। তিনি যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ প্রশাসনকে জানাতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, সামাজিক ট্যাবু ও ভয়ের কারণে শিশুরা অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হলেও তা গোপন রাখে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পরিবারে শিশুদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা, বিদ্যালয়ে সচেতনতা শিক্ষা এবং শিশু সুরক্ষা আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
সভায় উপস্থিত সবাই ঐকমত্য প্রকাশ করেন যে, শিশু যৌন শোষণ প্রতিরোধের লড়াইয়ে কোনো শিথিলতা চলবে না। আসক প্রতিনিধিরা জানান, তারা ভবিষ্যতেও এ ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন, যাতে প্রতিটি শিশু নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ শৈশব উপভোগ করতে পারে।
প্রতিবেদক- মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন, সাতক্ষীরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...