ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
তবে এসব অভিযোগ সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গত ২১ ও ২২ মে তার ডিফেন্স চলাকালে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডাইনিং কর্মচারী সাহিদা বেগমকে চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়ে তিনি ৩৩ হাজার টাকা নেন। পরে চাকরি নিশ্চিত না হওয়ায় এবং টাকা ফেরত না দেওয়ায় তিনি প্রতারণার শিকার হন।
ভুক্তভোগী সাহিদা বেগম বলেন, “তৎকালীন ডাইনিং ম্যানেজার আমাকে সজীবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর সে চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করে এবং একাধিকবার চাপ প্রয়োগ করে। বাধ্য হয়ে আমি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তাকে ৩০ হাজার টাকা দেই। কিন্তু এরপর থেকে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে দেখা হলে সজীব তাকে চিনতেই অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন, “আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি।”
তানভীর আহমেদ সজীবের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের দোকান থেকে বাকিতে পণ্য কিনে টাকা না দেওয়া, প্রকল্পভিত্তিক চাঁদা আদায় এবং শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, “বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে কেউ জানিয়েছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে জানতে তানভীর আহমেদ সজীবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, সজীবের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের নিরবতা দুঃখজনক। তারা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।