Logo Logo

ভোগান্তিতে ২০ হাজার মানুষ

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পাকা সড়কের ছোঁয়া পায়নি আলফাডাঙ্গার ৫ গ্রাম


Splash Image

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ উপজেলায় গ্রামের সংখ্যা ১২১টি। অধিকাংশ গ্রামেই রয়েছে পিচ ঢালাই রাস্তা। অথচ উপজেলার অন্যতম টগরবন্দ ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম–টিটা, শিকারপুর, টিটা পানাইল, ইকড়াইল ও কুমুরতিয়া এক্ষেত্রে দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে বঞ্চিত।


বিজ্ঞাপন


এই পাঁচটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা এখনও পাকা সড়কের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, এই অবহেলিত অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো পিচ ঢালাই করা হোক।

টিটা গ্রামের কৃষক নাছির মিয়া জানান, “রোজ বাড়ি থেকে সবজি ও গরুর দুধ নিয়ে আমাদের কাশিয়ানী বাজারে যেতে হয়। রাস্তা ভালো না থাকার কারণে আমাদের এসব পণ্য মাথায় করে নিতে হচ্ছে। আমার মতো এভাবেই রোজ এই পাঁচ গ্রামের শত শত কৃষক মাথায় করে অথবা বাইসাইকেলে করে মালপত্র বাজারে নিয়ে যান। আমরা চাই এসব গ্রামে পাকা রাস্তা হোক, যাতে মানুষজন একটু স্বস্তি নিয়ে চলাচল করতে পারে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাঈদ পটু মিয়া জানিয়েছেন, পাকা রাস্তা নির্মাণের জন্য তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং এলজিইডি প্রকৌশলীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম বলেন, বড় সমস্যা হচ্ছে ওই গ্রামগুলোতে যেতে হলে একটি ভাসমান সেতু পার হতে হয়। অন্য একটি বিকল্প কাঁচা রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের রোলার নেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন এবং রাস্তার অবস্থা ভালো নয়। তবে রাস্তাটি যদি রোলার যাওয়ার উপযোগী হয়, তাহলে আগামীতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কার্পেটিং করা যাবে। বাঁওড়ের সেতুর বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা একাধিকবার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রতিবারই তা বাতিল করা হয়েছে।”

আলফাডাঙ্গার ইউএনও রাসেল ইকবাল এ প্রসঙ্গে বলেন, “এলজিইডি থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে কার্পেটিং রাস্তা করার মতো পরিবেশ নেই। পরবর্তী সময়ে অবস্থা বুঝে কাজ শুরু করা যাবে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...