বিজ্ঞাপন
কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এমন সময়ে হয়, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টোকিও থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেন। তিনি সেখানে সিইওদের একটি শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন এবং ঐতিহাসিক শহর গিয়াংজুতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের (লির) সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
কেসিএনএ জানিয়েছে, নতুন এই অস্ত্র দেশটির পারমাণবিক-সশস্ত্র সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র সনাক্তকরণের তথ্য নিশ্চিত করেনি।
পরীক্ষা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কোরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা পাক জং চোন। তিনি নতুন ডেস্ট্রয়ার ‘চো হিওন’ ও ‘কাং কন’-এর নাবিকদের প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেছেন। কিম জং উন নৌবাহিনী শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই দুটি যুদ্ধজাহাজকে ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
গত সপ্তাহের স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর এটি উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ উৎক্ষেপণ। এবার নতুন হাইপারসনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা জানিয়েছে কেসিএনএ, যা তাদের পারমাণবিক প্রতিরোধ সক্ষমতা আরও বাড়াবে বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকালে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এমন কোনো সম্ভাবনাকে ‘অত্যন্ত ক্ষীণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
২০১৯ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিম জং উনের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার ব্যর্থতার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ওয়াশিংটন ও সিউলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক আলোচনায় বসেনি। বিশ্লেষকদের মতে, কিম জং উনের পররাষ্ট্রনীতি বর্তমানে রাশিয়ার দিকে বেশি ঝুঁকছে। উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মস্কোর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের বিরুদ্ধে নতুন ‘শীতল যুদ্ধের কৌশল’ অনুসরণ করছে।
কেসিএনএ তাদের প্রতিবেদনে পুনর্ব্যক্ত করেছে— যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের দাবি প্রত্যাহার না করে, তাহলে উত্তর কোরিয়া কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...