বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মেলিসা ঘণ্টায় ১৮৫ মাইল (২৯৫ কিলোমিটার) বেগে জ্যামাইকার দক্ষিণ-পশ্চিমের নিউ হোপ শহরের কাছে আঘাত হানে। এটি সাফির-সিম্পসন স্কেলে ৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম গতিবেগের চেয়েও বেশি। জ্যামাইকার ইতিহাসে এর আগে কখনও ৪ বা ৫ মাত্রার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সরাসরি আঘাত হানেনি।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি ৪ মাত্রার শক্তি নিয়ে কিউবার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সান্তিয়াগো দে কিউবার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে, এমনকি সড়ক অবকাঠামোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।”
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনায় প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বিশেষজ্ঞ অ্যান-ক্লেয়ার ফোজান্টান পরিস্থিতিকে ‘একটি বিপর্যয়কর অবস্থা’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, উপকূলীয় এলাকায় চার মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এনএইচসি সতর্ক করেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জ্যামাইকার পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী ডেসমন্ড ম্যাককেঞ্জি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘূর্ণিঝড়ে সেন্ট এলিজাবেথ এলাকার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং ভবনের একটি অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও অনেকেই বাড়ি ছাড়েননি। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ প্রায় ১৫ হাজার নাগরিক অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা চারটি শিশুসহ কয়েকটি আটকা পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
অ্যাকুওয়েদারের আবহাওয়াবিদেরা ঘূর্ণিঝড় মেলিসাকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানা ২০০৫ সালের ‘উইলমা’ ও ১৯৮৮ সালের ‘গিলবার্ট’-এর পর তৃতীয় সর্বোচ্চ তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেডক্রস আশঙ্কা করেছে, জ্যামাইকার প্রায় ১৫ লাখ মানুষের ওপর এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...