Logo Logo

গোপালগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদিচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত


Splash Image

‘প্রগতির পথে জীবনের গান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ উদিচী শিল্পী গোষ্ঠীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনটি পরিণত হয় জেলার অন্যতম সাংস্কৃতিক উৎসবে।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, উদিচী কেবল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন নয়, এটি বাংলাদেশে গণসংস্কৃতি ও মানবমুক্তির আন্দোলনের প্রাণশক্তি। তাঁরা উদিচীর দীর্ঘ সাংগঠনিক পথচলার ঐতিহ্য তুলে ধরে প্রগতিশীল, মানবিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শিল্পচর্চা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন অবদান রাখা চারজন গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন— স্বাধীনতা পূর্ব ও উত্তর আর্ট কাউন্সিলের শিক্ষক, সংগীতশিল্পী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক অধ্যক্ষ ওস্তাদ অনিল বিশ্বাস; বিশিষ্ট তালযন্ত্রী ও অনুষ্ঠান সমন্বয়ক শিব শংকর অধিকারী; নজরুলগীতি কণ্ঠশিল্পী নিপর্ণা বিশ্বাস এবং কবি ও সাংবাদিক রবীন্দ্রনাথ অধিকারী। তাদের প্রত্যেককে ফুলেল শুভেচ্ছা, উত্তরীয় পরিধান ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এরপর অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে অংশ নেয় উদিচী গোপালগঞ্জ জেলা সংসদ, সুর সন্ধান শিল্পী গোষ্ঠী, ত্রিবেণী গণ সাংস্কৃতিক সংস্থা, মধুমতি শিল্পী গোষ্ঠী, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, কাশবন সাহিত্য পত্রিকা শিল্পী গোষ্ঠীসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তির পরিবেশনায় মুখর হয়ে ওঠে শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তন।

দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ আয়োজনে শিল্পীদের প্রাণবন্ত পরিবেশনা দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখে। উপস্থিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও শিল্পপ্রেমীরা একে গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক কালের অন্যতম সফল সাংস্কৃতিক আয়োজন হিসেবে অভিহিত করেন।

অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা ও সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ উদিচী শিল্পী গোষ্ঠী গোপালগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতি নাজমুল ইসলাম। তাঁর নিখুঁত ব্যবস্থাপনা ও আন্তরিকতায় অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

উদিচীর ৫৭ বছরের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের স্মরণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান প্রমাণ করে— সংগীত, নৃত্য, নাটক, কবিতা ও কলা হতে পারে মানবমুক্তির সংগ্রামের শক্তিশালী হাতিয়ার।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...