 
                                ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৭। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাড়ির মালিক খায়েজ আহমদের ছেলে ও বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ কামাল (৫০), তার চাচাতো ভাই মুহাম্মদ সোহেল (৪৮) এবং পরিবারের এক কিশোর সদস্য।
র্যাব জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অস্ত্রের পাশাপাশি গাঁজা ও বিদেশি মদও উদ্ধার করা হয়েছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড় এবং ঘরের আলমারির ভেতর সুকৌশলে এসব অস্ত্র ও মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ কামালের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মারামারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সূত্রমতে, তিনি গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
তবে, এই অভিযান ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাকে 'ষড়যন্ত্রমূলক' বলে দাবি করেছে গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবার। তাদের ভাষ্য, কামাল বা সোহেল কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত নন। বরং ৫ আগস্টের পর থেকে তারা নোয়াপাড়ায় চাঁদাবাজি ও মারামারির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণেই একটি প্রতিপক্ষ চক্র ষড়যন্ত্র করে তাদের বাড়িতে এসব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, "সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়েছে এবং অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাউজান থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।"
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...