Logo Logo

বিএনপি কর্মীর বাড়ি থেকে ১১টি বন্দুক সহ ২৭টি দা-ছুরি উদ্ধার


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে এক বিএনপি কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রীতিমতো অস্ত্রের ভাণ্ডারের সন্ধান পেয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। অভিযানে ১১টি বন্দুক, ২৭টি ধারালো দেশি অস্ত্র (দা-ছুরি), ১৫ রাউন্ড কার্তুজ এবং ৮টি ক্রিকেট স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিএনপি কর্মীসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-৭। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাড়ির মালিক খায়েজ আহমদের ছেলে ও বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ কামাল (৫০), তার চাচাতো ভাই মুহাম্মদ সোহেল (৪৮) এবং পরিবারের এক কিশোর সদস্য।

র‍্যাব জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অস্ত্রের পাশাপাশি গাঁজা ও বিদেশি মদও উদ্ধার করা হয়েছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড় এবং ঘরের আলমারির ভেতর সুকৌশলে এসব অস্ত্র ও মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ কামালের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মারামারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সূত্রমতে, তিনি গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

তবে, এই অভিযান ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাকে 'ষড়যন্ত্রমূলক' বলে দাবি করেছে গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবার। তাদের ভাষ্য, কামাল বা সোহেল কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত নন। বরং ৫ আগস্টের পর থেকে তারা নোয়াপাড়ায় চাঁদাবাজি ও মারামারির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণেই একটি প্রতিপক্ষ চক্র ষড়যন্ত্র করে তাদের বাড়িতে এসব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, "সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়েছে এবং অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাউজান থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।"

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...