 
                                ছবি : সংগৃহিত
বিজ্ঞাপন
দলটির পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দিয়েও বলা হয়েছিল ‘শাপলা’ না দিলে তারা নিবন্ধন নেবে না। এ দাবিতে রাজপত্রে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেয় তারা।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৩০) অক্টোবর প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’ নতুন প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইসি। যদিও ইসি সচিব জানিয়েছেন, র্নিবাচন কমিশন মনে করেছে যে, ‘শাপলা কলি’ রাখা যেতে পারে। এটা কারও দাবির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক না।
তবে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে এনসিপির নেতারা। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘কোনো ধরনের আইনি কারণ ছাড়া আমাদেরকে শাপলা কলি দিয়ে গেজেট দিয়েছে ইসি। তারা বুঝিয়েছে আমরা বাচ্চাদের দল।
বড় দলগুলোও এনসিপিকে তেমনভাবে মূল্যায়ন করে থাকে বলে অভিযোগ করে সামান্তা বলেন, ‘এটি এক ধরনের বৈষম্য। সরকারি একটা কাগজ দিয়ে তারা যে মনস্তাতিক চাপ দিতে চাচ্ছেন, তা এই জেনারেশনের ওপর লাভ হবে না। শাপলা কলি তারা দিতে পেরেছে মানে শাপলাও দেওয়া সম্ভব।
এনসিপির এই নেতা বলেন, একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা শাপলা প্রতীক চেয়েছিলাম। কিন্তু গেজেট ভুক্ত হয়েছে শাপলা কলি। কোনো ধরনের কারণ, আইনি ব্যাখ্যা, সাংবিধানিক ব্যাখ্যা ছাড়া আবারও নির্বাচন কমিশন এমন অবস্থান নিলো যেটা একটা প্রশ্নের দেয়। শাপলা কলি যদি অন্তর্ভুক্ত করা যায়, এটা কী এমন একটা জায়গা দাঁড় করায় না, যে তারপরও তোমরা যেটা চেয়েছো সেটা আমরা দিলাম না।
সামান্তা শারমিন বলেন, এমন একটা পজিশন দাঁড় করানো হলো, যে তোমরা আসলে ফোটো নাই, তোমরা এখনো বাচ্চা। এই যে একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করানো, এটা কার? এটা তো বড় রাজনৈতিক দলগুলোর ন্যারেটিভ। আমরা মনে করি, এখনো তারা যে এই প্রক্রিয়া চালু রেখেছেন সেটি অবিলম্বে বন্ধ করবেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন না হলে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...