Logo Logo

ইট বিছানো রাস্তা, গর্ত আর জলাবদ্ধতা—এমনই ববির প্রধান প্রবেশপথ,সংস্কারের অবহেলা ববি প্রশাসনের


Splash Image

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রধান ফটক, অর্থাৎ তিন নম্বর গেট থেকে প্রশাসনিক ভবন একের নিচতলা (গ্রাউন্ড ফ্লোর) পর্যন্ত রাস্তাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই।


বিজ্ঞাপন


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রধান ফটক, অর্থাৎ তিন নম্বর গেট থেকে প্রশাসনিক ভবন একের নিচতলা (গ্রাউন্ড ফ্লোর) পর্যন্ত রাস্তাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একচল্লিশটি স্বল্পমেয়াদি দাবি তার কাছে পেশ করা হয়। এর মধ্যে অষ্টম দাবি ছিল তিন নম্বর গেট থেকে গ্রাউন্ড ফ্লোর পর্যন্ত রাস্তা জরুরি ভিত্তিতে পিচঢালাই করা। তবে নতুন উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ মাস পার হলেও এ বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি ববি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।

শিক্ষার্থীরা জানান, উক্ত রাস্তায় কেবল ইট বিছানো রয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে গর্ত। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, যা শিক্ষার্থীদের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটায়। তাদের প্রশ্ন— একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের রাস্তা এভাবে কাদামাটি ও গর্তে ভরা থাকা কীভাবে সম্ভব? শিক্ষার্থীরা জানান, বিষয়টি একাধিকবার উপাচার্যের কাছে তুলে ধরলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার সায়েম বলেন, “তৎকালীন উপাচার্য শুচিতা শারমিনের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নামার অন্যতম কারণ ছিল তার কাজের স্থবিরতা। নতুন উপাচার্য স্যারকেও একই রকম নিষ্ক্রিয় মনে হচ্ছে। ববি এমন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে কোনো পিচঢালা রাস্তা নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলে ভয়াবহ কষ্ট হয়। তিন নম্বর গেট থেকে গ্রাউন্ড ফ্লোর পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার আমাদের স্বল্পমেয়াদি দাবিগুলোর একটি এবং এটি সহজেই বাস্তবায়নযোগ্য হলেও কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এতে আমরা হতাশ হয়েছি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম বলেন, “আমরা বর্তমানে ইজিপি (e-GP) পদ্ধতিতে কাজ করছি। যেহেতু এই সিস্টেমটি আমাদের জন্য নতুন, তাই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে, যার কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে, ওয়ার্ক অর্ডার পেলেই কাজ শুরু হবে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু করা যাবে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...