ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার। ফয়সালাবাদের ঐতিহাসিক মাটিতে আয়োজিত এই সিরিজ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট ফিরছে—শেষবার এখানে ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছিল ২০০৮ সালের ১১ এপ্রিল, যেখানে বাংলাদেশকে সাত উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এবার সেই মাঠেই নতুন ইতিহাস গড়ার সুযোগ নিয়ে নামছে বাবর আজমের দল।
এই সিরিজে পাকিস্তানের ব্যাটিং তারকা বাবর আজমের সামনে রয়েছে দুটি বড় মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ। ৩১ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওপেনার সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ড ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন। সাঈদ আনোয়ার ২৪৭ ওয়ানডেতে ২০টি শতক হাঁকিয়েছিলেন ২৪৪ ইনিংসে। অন্যদিকে, বাবর আজমের নামের পাশে ইতোমধ্যে রয়েছে ১৩৪ ম্যাচে ১৩১ ইনিংসে ১৯টি শতক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে অন্তত একটি শতক হাঁকালেই তিনি আনোয়ারের রেকর্ড স্পর্শ করবেন এবং পাকিস্তানের ইতিহাসে ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বোচ্চ শতকের তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে উঠবেন।
তবে এখানেই শেষ নয়—ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলিকেও পেছনে ফেলার সুযোগ রয়েছে বাবরের সামনে। ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে কম ইনিংসে ২০ শতক হাঁকানোর তালিকায় বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে আছেন কোহলি, যিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন ১৩৩ ইনিংসে। অন্যদিকে, বাবরের শতক সংখ্যা এখন ১৯টি ১৩১ ইনিংসে। যদি তিনি সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই আরেকটি শতক হাঁকাতে পারেন, তবে ১৩২ ইনিংসে ২০ শতক পূর্ণ করে কোহলিকে পেছনে ফেলবেন তিনি। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকারই হাশিম আমলা, যিনি মাত্র ১০৮ ইনিংসে ২০ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
এদিকে, পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ৮৭ বার। এর মধ্যে পাকিস্তান জয় পেয়েছে ৩৪ ম্যাচে, দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে ৫২টিতে এবং একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...