ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
পোস্টে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, “এই নির্বাচন আমার শেষ নির্বাচন। যারা মনোনয়ন পায়নি—বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে। আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ!”
তিনি আরও জানান, “মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে। আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ—আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য।”
ব্যক্তিগত জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে—অনেকেই তা জানে না। আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই আবার রাজনীতিতে ফিরব, তখন আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিলো! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স তখন অনেক কম ছিলো। সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল, বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সে-ই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে। মনে পড়ে, আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে—আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম ঢাকার পথে, যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি। তখন এত কষ্ট হচ্ছিলো, আমি ছিলাম মসজিদে যখন তার অপারেশন হচ্ছিল। গল্পগুলো অন্য কোনো দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার নেতাকর্মীর আছে!”
রাজনীতিতে দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...