Logo Logo

কর্ণফুলীতে জোরপূর্বক প্রতিবেশীর গাছ কেটে জায়গা দখলের অভিযোগ


Splash Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চমদর পাড়ায় মৃত নচুমা খাতুনের ছেলে জাগের পরিবারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রতিবেশীর গাছ কেটে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে।


বিজ্ঞাপন


চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চমদর পাড়ায় মৃত নচুমা খাতুনের ছেলে জাগের পরিবারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রতিবেশীর গাছ কেটে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে।

জায়গার প্রকৃত মালিক মৃত মাওলানা মাহবুব আলীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, তারা বহু বছর ধরে ঐ জায়গার গাছ কেটে ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি জাগের পরিবার ওই জায়গা থেকে গাছ কেটে নিতে গেলে বাঁধা দিলে তাদেরকে মারধর ও হুমকি দেওয়া হয়।

বাদীপক্ষের আবু রিদওয়ান মুহাম্মদ এরফান জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জায়গা থেকেই গাছ কেটে আসছি। গত (২৭ অক্টোবর) নচুমার ছেলে জাগের পরিবার আমাদের জায়গা থেকে গাছ কেটে নিয়ে যায়। তা আমরা কর্ণফুলী থানাকে জানায়। কর্ণফুলী থানার এসআই শফিউল এসে তাদের বাঁধা দেয়। গাছ কাটতে নিষেধ করে। তারা পুলিশের বাঁধা অমান্য করে পুনরায় গত শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে মৃত নচুমার ছেলে জাগের পরিবার আবারও আমাদের জায়গা থেকে গাছ কেটে নিতে গেলে আমরা বাঁধা দিই। তারা না শুনলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। খবর পেয়ে কর্ণফুলী থানার এসআই রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে আসে। এসআই রুহুল আমিন উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জাগের পরিবারকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পরও তারা পুনরায় গাছ কেটে নিয়ে যায়।”

বাদীপক্ষ আরও অভিযোগ করেন, থানায় জিডি করতে গেলে সেকেন্ড অফিসার উভয় পক্ষকে আপসের পরামর্শ দেন।

এছাড়া বাদীপক্ষ আরো জানান, জাগের পরিবার ২০২২ সালে শাহমিরপুর মৌজার খাস খাই (বিএস দাগ নং ৮৭৩৭) ও গ্রামীণ পথ (বিএস দাগ নং ৮৭৫৬)-এর ওপর পাকা দালান নির্মাণ শুরু করে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্ণফুলীকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। তার নির্দেশে তহশিলদার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পাঠানো হলে তিনি এসি ল্যান্ডকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তহশিলদার মার্চ ২০২৫-এ প্রতিবেদন জমা দেন এবং চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর এসি ল্যান্ড মো. আল আমিন উভয় পক্ষের শুনানি নেন।

বাদীপক্ষের দাবি, শুনানি চলমান থাকা অবস্থাতেই জাগের পরিবার দৌলতপুর মৌজার বিএস দাগ নং ৩৬৮১ এর অন্তর্ভুক্ত তাদের পৈতৃক জায়গা থেকে একটি বড় গাছ কেটে নেয়।

এর আগেও ২০১৭ সালে জাগের পরিবার সরকারি জায়গায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে এডিএম কোর্টে ১৪৭ ধারায় ১৭১১/১৭ নং মামলা দায়ের হয়, যা বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার এসআই রুহুল আমিন বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। তখন আমরা জাগের পরিবারকে জায়গা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গাছ না কাটার অনুরোধ করি। পরে বাদীপক্ষ আমাকে মোবাইলে গাছ কাটার ছবি দেখালে বিষয়টির সত্যতা পাই।

বড়উঠান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ ফরিদ বলেন,দৌলতপুরের গাছ কাটার ঘটনাটি আমি শুনেছি। জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। ঐদিনও তাদের ঝগড়া বাঁধলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বলে জানতে পারি।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন,দৌলতপুরের গাছ কাটার বিষয়ে আমাকে বাদীপক্ষ জানিয়েছে। তদন্তের জন্য আমি থানার সেকেন্ড অফিসার মিজানকে দায়িত্ব দিয়েছি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...