বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, “গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য একটি আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। আজ তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুম সংজ্ঞায়নের পাশাপাশি চলমান অপরাধ বা কন্টিনিউড অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন, যা আয়নাঘর নামে পরিচিত, তা ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী-স্বাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করার বিধানও সংযোজিত হয়েছে।”
শফিকুল আলম জানান, “গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশে তহবিল গঠন এবং তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার বিধানও রাখা হয়েছে, যা ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “শেখ হাসিনার সময় বাংলাদেশে হাজার-হাজার মানুষ গুম হয়েছে। গুম বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র নিবন্ধিত অভিযোগের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি এবং বাস্তবে এই সংখ্যা চারশোরও বেশি হতে পারে। দেশের শতশত আয়নাঘরে মানুষকে আটক করা হতো, কেউ কেউ ফিরে এসেছে, কেউ ফিরে আসেনি। বিএনপির অনেক কর্মী এখনও নিখোঁজ।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, “বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোর্সড ডিসএপিয়ারেন্স’-এর অংশীদার। এই আন্তর্জাতিক কনভেনশনকে ফলো করে অধ্যাদেশটি তৈরি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক আইন। এর ফলে দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না এবং কোনো আয়নাঘর তৈরি হবে না।”
শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেন, আজকের মিটিংয়ে জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে, জাতীয় নগরনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এবং আগামী বছর ২০২৬-এর সরকারি ছুটির তালিকাও অনুমোদিত হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...