বিজ্ঞাপন
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই সময় তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘গণভোট’ ইস্যু নিয়ে কথায় কথায় রাস্তায় নামা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “কথায় কথায় দাবি নিয়ে রাস্তায় নামা হবে না। আপনারা যদি দাবি নিয়ে মাঠে নামেন, আর দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দেয়, তাহলে সংঘর্ষ বাধবে।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের স্বৈরাচারী মানসিকতা কাজ করছে। কনসেনসাসের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের ৩১ দফার অনেক বিষয় এখনো ঐক্যমতের মধ্যে আসেনি, তবে তাই বলে কি আমি রাস্তায় নামবো? আমি জনগণের কাছে যাব।”
তিনি যোগ করেন, “ঐক্যমতের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই—এটাই বাস্তবতা। অধ্যায়টি আপাতত বন্ধ। নিজের চিন্তাভাবনা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি ক্ষমতায় এলে তারপর পরিবর্তনের উদ্যোগ নিন।”
চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক এক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঘটনাটি একটি দলের ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল। তবে যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারাই এ ঘটনার পেছনে আছে কি না, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।”
অর্থনৈতিক বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন, “বিএনপির সময়ে কখনো শেয়ারবাজারে ধস নামেনি, অর্থনীতি ছিলো শক্তিশালী। আমরা প্রাইভেট সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিতাম, এবং ভবিষ্যতেও তা করবো। আমরা এমন ব্যবস্থা করবো যাতে জনগণ ঘরে বসেই লাইসেন্স পেতে পারে। যত বেশি জনগণকে ক্ষমতায়ন করা যাবে, তত বেশি দেশের উন্নয়ন হবে। দলের ক্ষমতায়ন নয়, জনগণের ক্ষমতায়নই আসল লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আমরা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব। এটি হবে জনগণের অধিকার, দয়ার দান নয়।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...