ভোরের বাণী
ছবি-উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর
বিজ্ঞাপন
এর ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৮ মে) ভোররাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোটা উপকূলীয় আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসে বিশেষ চাপ না থাকলেও অমাবস্যার প্রভাবে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটা সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা রয়েছে উত্তাল অবস্থায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পায়রাসহ দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার ও নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় মালিক সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, “সাগরে মাছধরা নিষেধ থাকায় কোনো জেলে সাগরে নেই। যারা নদীর মোহনায় ছিল, তারাও নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে।”
এদিকে আবহাওয়ার এই অবস্থার কারণে কৃষি, জেলে ও নৌযান-নির্ভর জনগোষ্ঠীর মধ্যে সতর্কতা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদক-জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া।
