Logo Logo

মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদল নেতার হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার


Splash Image

ছবি: সংগৃহীত।।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চন্দ্রিমা মডেল টাউনে আহমেদ সাব্বির নামে এক ছাত্রদল নেতার হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা থেকে আহমেদ সাব্বির (২৮) নামে এক ছাত্রদল নেতার হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাব্বিরের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সিরাজুল ইসলামের বাড়ি। তিনি বর্তমানে চন্দ্রিমা মডেল টাউনের ১০ নম্বর রোডের বি-ব্লকের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

সাব্বিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার রাজনৈতিক সহকর্মী আকাশ জানান, সকালে রুমমেট বাবু ফোন করে জানান সাব্বির দরজা খুলছে না। পরে আকাশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের ভবন থেকে দেখে নিশ্চিত হন কিছু একটা ঘটেছে। পরে একটি রড দিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় সাব্বিরের হাত বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে এবং ফ্যানের সঙ্গে একটি রশি ঝুলছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ওই বাসার আরেক অতিথি সোহেল জানান, সোমবার তিনি বাসাটিতে অতিথি হিসেবে আসেন। সকালে সাব্বির তাকে নাস্তা আনতে ১০০ টাকা দিয়ে পাঠান। ফিরে এসে দেখেন দরজা বন্ধ, অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া নেই। পরে আকাশ এসে দরজা ভেঙে সাব্বিরকে অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখেন। তার গলায় ফাঁসের দাগ এবং হাত বাঁধা অবস্থায় ছিল।

সাব্বিরের মৃত্যুর খবরে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকেই হাসপাতালে ছুটে যান। নিহতের বড় ভাই আব্দুল আজিজ জানান, “ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। খবর পেয়ে এসেছি। কয়েকদিন আগেই তার সঙ্গে কথা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, সাব্বির মোহাম্মদপুরে একা থাকতেন। পরিবার যাত্রাবাড়ীতে বসবাস করে। তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর কিছুদিন চাকরি করলেও বর্তমানে কোনো পেশায় যুক্ত ছিলেন না।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ জানান, “আমরা মোহাম্মদপুর এলাকার এক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহের গলায় দাগ রয়েছে, হাতও বাঁধা ছিল। তবে শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...