Logo Logo

‘আ. লীগ কর্মীদের’ ছাড়াতে থানায় যুবদল নেতা, ওসিকে দেখে নেয়ার হুমকি!


Splash Image

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থানায় আটক নেতাকর্মীদের না ছাড়ায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ এবং 'হাড়গোড় ভেঙে ফেলার' হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে থানা চত্বরেই এই ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম।

রাণীশংকৈল থানার ওসি মুহাম্মদ আরশেদুল হক জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক তথ্যমতে, আটক ব্যক্তিরা বিএনপি-সংশ্লিষ্ট রাজনীতির সাথে জড়িত। ওসি জানান, বুধবার দুপুরে পীরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. নাজমুল হুদা মিঠু এবং বাচোর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদুলের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী ও আটককৃতদের স্বজনরা থানায় আসেন।

ওসির অভিযোগ, "তারা (মিঠু ও জাহিদুল) এসে আসামিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন এবং আর্থিক প্রস্তাবও দেন। আমি তা প্রত্যাখ্যান করলে মিঠু ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি আমাকে ও যে অফিসার আসামিদের ধরেছিল, তাকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মিঠু আমাকে ‘দেখে নিব, থানা উড়িয়ে দেব, বাইরে গেলে ঠ্যাং ভেঙে দিব, কীভাবে চাকরি করেন দেখে নিব’ বলে নানানভাবে হুমকি দেন।"

আটক ব্যক্তিরা হলেন—বাচোর ইউনিয়নের হামিদুর রহমান (৬০), তার ছেলে সারোয়ার নুর লিওন (৩২), ভাউলারবস্তি সম্পদবাড়ি এলাকার খলিলুর রহমান (৫০) এবং ধর্মগড় এলাকার জিয়াউর রহমান (৪২)। পুলিশের ভাষ্য, তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুরোনো মামলা রয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা নাজমুল হুদা মিঠু হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আমার ব্যবসায়িক পার্টনার ছিল। ওসি নিজেই আমাকে থানায় ডাকেন। আমি শুধু বলেছি তারা কোনো দল করে না। আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার বা হুমকি দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।" তিনি আরও বলেন, "আমি ওসিকে শুধু ৪-৫ তারিখ (আগস্ট ২০২৪) যখন থানা জ্বালিয়ে দিতে গিয়েছিল, তখন আমি কীভাবে থানা রক্ষা করেছিলাম, সেই কথা শোনাচ্ছিলাম।"

এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. জাহিদ বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না, তবে ঘটনা সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।

জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, "আমরা ইতিমধ্যে জিডি করেছি এবং যুবদলের হাই কমান্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবস্থা নেবেন। আমরা তদন্ত করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।"

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...