ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “আমরা দুর্ভাগ্যক্রমে অন্যের মত সহ্য করতে শিখিনি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া এই দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, আর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।”
বুধবার (১৯ নভেম্বর) গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার’ বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, “এই মবক্রেসি কীসের লক্ষণ, জানি না। তবে মনে হয়, রায়ের গুরুত্ব কমিয়ে দিতে একটি বিশেষ মহল সচেতনভাবে ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কোনো বিপ্লবী সংগঠন নয়, বরং একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক দল। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেই তারা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছে। দেশের ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া রোধ করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন ও কার্যকর করতে হবে। বিচার বিভাগ, সাংবাদিকতা, পার্লামেন্ট এবং আইনের শাসন সবই এর অংশ।
সংস্কার ইস্যুতে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, “আজ যদি কেউ দাবি করেন, তিনি এককভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন, এটা সংকীর্ণতা ছাড়া কিছু নয়। বহু বছর ধরেই ১০, ২৭ ও ৩১ দফার মধ্য দিয়ে বিএনপি সংস্কারের রূপরেখা দিয়ে আসছে। এখন একটি মহল এটিকে ভিন্নদিকে নিতে চাইছে।”
ফখরুল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার গুরুত্বও তুলে ধরে বলেন, “নির্বাচন মানে শুধু ভোট নয়, এর অর্থ গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া।” তিনি উল্লেখ করেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক মোর্চা গঠনের দায়িত্ব এখন বিএনপির ওপরই বর্তেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন, ড. ওসমান ফারুকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...