বিজ্ঞাপন
রোববার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
সমাবেশে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) আইনের ৩৪ ধারায় চুক্তির আগে শর্ত প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চুক্তি সম্পাদনের পর তা প্রকাশে কোনো আইনগত বাধা নেই। এরপরও সরকার শর্ত গোপন রেখে জনস্বার্থকে উপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে, শর্ত প্রকাশে সরকারের অনীহাই প্রমাণ করে এসব চুক্তির মধ্যে এমন বিষয় রয়েছে, যা প্রকাশ হলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, গোপনে চুক্তি সম্পাদন ও তথ্য আড়াল রেখে কখনোই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে দেশে চুক্তির শর্ত জনগণের সামনে প্রকাশ করা হয় না, সেখানে ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার দাবি কতটা যৌক্তিক।
বাসদ (মার্ক্সবাদী)-এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা বন্দর ইজারার পুরো প্রক্রিয়াকে ‘অস্বচ্ছ, অযৌক্তিক ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের বন্দরগুলোকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে উপস্থাপন করছে, যা দেশের ভাবমূর্তির জন্য লজ্জাজনক এবং ক্ষতিকর অধ্যায় হয়ে উঠছে।
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, এই সিদ্ধান্ত ‘২৪-এর চেতনার’ সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার মতে, দেশের প্রধান বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া এক ধরনের আত্মবিধ্বংসী পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে জাতীয় স্বার্থের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে সব গোপন চুক্তির শর্ত প্রকাশ এবং বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে বন্দরসংশ্লিষ্ট চুক্তি বাতিলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে তারা হুঁশিয়ারি দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...