বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে সুপরিওলা বাড়ির সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সাদ্দাম স্থানীয় শহর বাসিন্দা মোস্তফা কামাল মস্তুর ছেলে। তার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। স্থানীয়রা সাদ্দামকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মোস্তফা কামাল মস্তু অভিযোগ করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপ পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। বিএনপি’র দুই পক্ষের কোন্দলেই সাদ্দামকে বলি হতে হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, রাত একটা পর্যন্ত তিনি স্বামীর সঙ্গে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর দীলিপের লোকজন সাদ্দামকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে খবর আসে—‘বাইকের পাশে গুলি করেছে’। ছুটে গিয়ে দেখেন সাদ্দাম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি টাকার ভাগাভাগির বিরোধ নিয়ে লায়ন শাকিল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপ গ্রুপের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা চলছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপর রাত ১২টার দিকে দীলিপ পক্ষের লোকজন ফারুকীবাজারে মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে রবিন ও তার ভাই রিপনকে মারধর করে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ধারাবাহিক ঘটনার কারণে এলাকাজুড়ে অস্থিরতা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপ তার প্রতি আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো সব চক্রান্ত এটা তো আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম জানান, “কান্দিপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। তারই জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।তদন্ত ছাড়া কিছু বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানান, রাতের ঘটনায় দু’জন আহত হয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছেন।
সাদ্দামের মৃত্যুর পর কান্দিপাড়া ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি। হত্যাকাণ্ডে শোকের ছায়া নেমেছে সাদ্দামের পরিবারে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...