বিজ্ঞাপন
ঘটনাস্থল ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, পদ্মশাখরা ফুটবল মাঠসংলগ্ন এলাকায় রায়হান কবির তাঁর বসতবাড়িতে প্রায় ৩০০টির বেশি বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর নিয়ে একটি খামার পরিচালনা করতেন। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। খামার থেকে মাত্র ২৫০ গজ পশ্চিমে রয়েছে অভিযুক্ত ইসমাইল গাজীর সরিষার ক্ষেত।
রায়হানের অভিযোগ, তাঁর কবুতর মাঝে মাঝে উড়ে ইসমাইল গাজীর সরিষা ক্ষেতে বসত, যা নিয়ে ইসমাইল বহুদিন ধরে ক্ষুব্ধ ছিলেন। হিংসার বশবর্তী হয়ে তিনি সুপরিকল্পিতভাবে সরিষা ক্ষেতে রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করেন, যাতে কবুতরগুলো খেয়ে মারা যায়।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে কবুতরগুলো খামার থেকে উড়ে বের হয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন মানা (৪৫) একটি মৃত কবুতর নিয়ে রায়হানের বাড়িতে এসে জানান—ইসমাইল গাজীর ক্ষেতে আরও অনেক কবুতর মরে পড়ে আছে, কিছু এখনো ছটফট করছে।
পরে রায়হান দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, তাঁর খামারের বিভিন্ন জাতের ১০৮টি কবুতর বিষক্রিয়ায় মারা পড়ে আছে। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রায়হানের দাবি, “খামারের প্রতি হিংসা থেকে ইসমাইল গাজী ইচ্ছাকৃতভাবে সরিষা ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করে আমার কবুতরগুলো হত্যা করেছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইসমাইল গাজী রায়হানকে হুমকি দিয়ে বলেন, “কবুতর মেরেছি, ভালোই করিছি। দরকার হলে তোর সব কবুতরই বিষ দিয়ে মারব। যা করার আছে করে নে।”
ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হলেও পরে থানায় এজাহার দাখিল করতে সময় লাগে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মো. রাসেল (২১), মো. মনিরুল ইসলাম (৩০)সহ একাধিক ব্যক্তি ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত রায়হান কবির দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক বলেন, “ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। যাচাই–বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...