বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বনাঞ্চলে পরিচালিত নিরাপত্তা অভিযান চলাকালীন এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে।
ছত্তিশগড় পুলিশের আইজি (বস্তার রেঞ্জ) সুন্দররাজ পাটিলিঙ্গম জানান, “দন্তেওয়াড়া ও বিজাপুরের ডিআরজি, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং কোবরা—সিআরপিএফের কমান্ডো বাহিনী—এই অভিযানে অংশ নিয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) গতিবিধির খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। সংঘর্ষের পর উদ্ধার হয় ১২ জন মাওবাদীর মরদেহ, পাশাপাশি সেল্ফ লোডিং রাইফেল (এসএলআর), ইনসাস, অন্যান্য রাইফেল ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।
আইজি সুন্দররাজ পাটিলিঙ্গম আরও জানান, চলতি বছরই ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৭৫ জন নিহত হয়েছে। এতে রয়েছে মাওবাদী শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা—মাওবাদী সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও (বাসবরাজু/গগন্না), পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি (চলপতি), তার স্ত্রী রবি ভেঙ্কট লক্ষ্মী চৈতন্য (অরুণা), কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম (সুধাকর) এবং পিএলজিএর শীর্ষ কমান্ডার মাধভী হিডমার।
দলটির কয়েক দশক ধরে চলা সশস্ত্র বিদ্রোহ স্থগিত ঘোষণা করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। দিল্লি কর্তৃপক্ষ আগামী বছরের মার্চের মধ্যে মাওবাদী বিদ্রোহ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...